চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী ওসমান গণি পাটোয়ারী এখন লক্ষ্মীপুরের তরুণ প্রজন্মের অহংকার। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের বিপ্লবী এই তরুণকে সহপাঠীরা মনে রেখেছেন অকৃত্রিম বন্ধুত্ব ও সাহসী অবস্থানের কারণে।
ওসমান ২০২৪ সালের ৪ঠা আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হন। সেদিন লক্ষ্মীপুর শহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিয়ে শহীদ হন তিনি।
তার মৃত্যুর পরও তাকে ভুলতে পারেনি সহপাঠীরা। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরীক্ষার হলে তার চেয়ার আজও থাকে খালি,ভালোবাসার স্মৃতিতে সহপাঠীরা স্মরণ করেন তাকে।
তার সহপাঠীরা বলেন, ওসমান ছাড়া বন্ধুত্ব কল্পনাই করা যায় না। সে ছিলো সবার থেকে আলাদা। বন্ধুরা মনে করেন, দেশের জন্য তার এই আত্মত্যাগ আজীবন স্মরণীয় রাখবে বাংলাদেশ।
দেশের দক্ষিণের জেলা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানার দক্ষিণ রায়পুর গ্রামে জন্ম নেওয়া ওসমান দুই ভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। ২০০২ সালের ১৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ওসমানের বাবা আব্দুর রহমান একজন ব্যবসায়ী এবং মা রেহানা আখতার পেশায় শিক্ষিকা।
রেহানা জানান, ছেলের ইচ্ছে সবসময় পূরণ করেছেন তিনি। আন্দোলনে যাওয়ার আগে অনুমতি নিয়ে গিয়েছিল ওসমান। শহীদ হওয়ার পর সারাদেশের মানুষ এখন তাকে “শহীদের মা” হিসেবে চিনে,এটিই তার সবচেয়ে বড় গর্ব। ছেলের স্মৃতি শুধু তার পরিবার নয়, সহপাঠী ও প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস দাবি- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান খাঁন বলেন, শহীদ ওসমানের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের তরুণদের মনে নতুন স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তুলেছে। শহীদ ওসমান গনি শুধু একটি নাম নয়, লক্ষ্মীপুরের তারুণ্যের অহংকার।